বাহার উদ্দিন :
হবিগঞ্জের লাখাইয়ে মৌসুমি শাকসবজি চাষী শামসুল হক চলতি মৌসুমে আগাম মূলা চাষে লাভবান হয়েছেন।
উপজেলার করাব ইউনিয়নের করাব গ্রামের শামসুল হক এ মৌসুমে তাঁর নিজস্ব ১০ শতাংশ জমিতে এভারেস্ট জাতের মূলা চাষ করেন।
জমি তৈরি, বীজ,সারসহ এতে মোট খরচ হয়েছে ১ হাজার ৫ শত টাকা।রোপনের ৩৫ দিনে সে তাঁর জমির সমুদয় মূলা পাইকারি দামে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে।এতে তাঁর খরচ বাদ মুনাফা হয় ৬ হাজার ৫ শত টাকা।
মাত্র ৩৫ দিনে ১০ শতাংশ জমিতে এ পরিমাণ মুনাফা হওয়ায় সে খুসী।
এ বিষয়ে সব্জি চাষি শামসুল হক জানান আমি সারা বছরই কোন না কোন শাকসবজি চাষ করে আসছি। এরই অংশ হিসাবে এ বছর একখন্ড জমিতে মূলা চাষ করে কাংখিত ফলন হওয়ায় খুব খুসী।তিনি আরোও জানান পাইকারি দামে বিক্রি করাতে মুনাফা কম হয়েছে। নিজে হাটে নিয়ে বিক্রি করলে মুনাফা আরোও বেশী হতো।খুচরা বিক্রিতে ১৫ হাজার টাকার মতো বিক্রয় করতে পারতাম।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন মূলা শীত মৌসুমের ফসল এবং স্বল্প সময়ে অল্প খরচে ফসল উৎপাদন করে বেশ লাভবান হওয়ার সম্ভাবণা। এটির বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে।
কৃষকেরা ফসল উৎপাদন এর ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ ও এর মাধ্যমে কি পরিমাণ মুনাফা হবে তা বিবেচনায় নিয়ে আবাদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া স্বল্প মেয়াদি ও লাভজনক ফসল আবাদের মাধ্যমে একই জমি থেকে বারবার ফসল উৎপাদন করতে পারবে এবং এতে শস্য নিবিরতা বাস্তবায়ন হবে।