শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ অপরাহ্ন
মাধবপুর প্রতিনিধি ॥
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজলায় ইজারা বর্হিভূত বিভিন্ন ছড়া, নদী ও ফসলী জমি থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে পাচার করে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল।
অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় পরিবেশ বিপর্যরের পাশা-পাশি মোটা অংকের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। উপজেলার সোয়াবই, হরষপুর, শিউলিয়া, মনতলা, গাংগাইল, ও আফজলপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভূগর্স্থ থেকে বালু উত্তোলন করায় ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্থসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মোহাম্মদ নূরুজ্জামান ০৫.৬০.৩৬০০.০১৮.০৭.০০৫.১২-৮৯৩(৫)নং স্বারকে ২০১০ সালের বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে অবৈধ বালু পাচারকারী হরষপুর অঞ্চলের ইব্রাহিম, আব্দুল আলী, মুখলেছ, দেলোয়ার, শেউলিয়া অঞ্জলের জহিরুল ইসলাম, শান্তি, আফজল পুরের শহিদ, আপন মিয়া, দূর্গানগরের শাহিন, ঘিলাতলীর মিয়াব আলী, কালিকাপুরের ফিরোজ, সাতবর্গের সুধীর দেবনাথ, আলাবক্সপুরের টিপু মিয়া, হরিণখোলার সোহেল মিয়া, কালিকাপুরের নাহিদ, শ্রীধরপুরের সেলিম, চৈতন্যপুরের বাবু, গোপিনাথপুরের জালাল মিয়া’রসহ ১৯জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মাধবপুর থানার অফিসার ইনিচার্জকে একটি পত্র দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মোহাম্মদ নূরুজ্জামান সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন-অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ওসি, ইউএনও ও সহকারী কমিশনার ভূমিকে পত্র দিয়েছি। সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন-অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা মনির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি পত্র প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানার এস.আই মমিনুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
