আনোয়ার হোসেন মিঠু, নবীগঞ্জ থেকে :

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সাংবাদিক ও গীতিকার এম. মুজিবুর রহমানের বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পল্লীবাংলা লোকসংগীত একাডেমি, ইমামবাড়ী কর্তৃক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷

পল্লীবাংলা লোকসংগীত একাডেমির সভাপতি গীতিকবি গোপাল রায় এর সভাপতিত্বে ও সহসভাপতি কবি ও শিল্পী এডভোকেট আব্দুল বাছিত ও গীতিকার হাবিবুর রহমান হাবিব এর যৌথ পরিচালনায় এতে অংশ গ্রহন করেন সাংবাদিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ৷

অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পল্লী বাংলা লোকসংগীত একাডেমির উপদেষ্টা মখলিছুর রহমান আনসারী, নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক এডভোকেট শেখ শাহনুর আলম ছানু, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুজ্জামান মুহিত, পৌর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল তালুকদার, নবীগঞ্জ প্রবীণ বাউল সংগঠনের সভাপতি এখলাছুর রহমান আজাদ, সাংবাদিক ফারুরী আহমেদ, বাংলাদেশ বীরমুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি আব্দুল্লাহ্ মিয়া, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পিকলু চৌধুরী, শাহ্ আব্দুল করিম বাউল গোষ্ঠী হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বাউল প্রানকৃষ্ণ গোপ, দবির ভান্ডারী, হযরত শাহ্ চেরাগ কুতুব উদ্দীন আউলিয়া বাউল সংগটনের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন মিয়া, রিপন মিয়া,
বাউল রুবেল বৈষ্ণব, যুবলীগ নেতা আনজব আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুমন চৌধুরী, বাউল নাসির উদ্দীন, সাংবাদিক তাজুল ইসলাম, সাংবাদিক নাবেদ মিয়া, সাংবাদিক ছনি চৌধুরী, সাংবাদিক স্বপন রবি দাস,
সাংবাদিক অঞ্জন রায়, বাউল মুছন আলী সংগীত প্রশিক্ষণ একাডেমির সভাপতি লেবু মিয়া, পরিচালক লালিছ মিয়া, বাংলাদেশ রবিদাস সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক শান্ত রবিদাস, বীরমুক্তিযোদ্ধা সন্তান সুবিনয় দাস, কমান্ডার এম এ খালেক, তাজ উদ্দীন, তাজুল ইসলাম, আল আমীন, পংকজ দাশ, তোষার পাঠান প্রমূখ।

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি সাংবাদিক শাহ্ সুলতান আহমদকে সন্ত্রাসী হামলায় আহতের ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করা ও প্রতিবাদ জানানোর অপরাধে ,গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে নবীগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিক ও গীতিকার মুজিবুর রহমানের গ্রামের বাড়ী দীঘলবাক ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের বাড়ীতে এলাকার জুয়েল বাহিনী ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে৷ সে ও তার বাহিনী কর্তৃক বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে৷ এর সাথে যারা জড়িত তাদেরকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার পূর্বক কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানানো হয়৷ পাশাপাশি সাংবাদিকদের কর্তব্য কাজে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে এবং এ ধরণের ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলায় যাতে ভবিষ্যতে কোন সাংবাদিক শিকার না হন সে বিষয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সরকারের প্রতি দাবী জানানো হয় ৷