আনোয়ার হোসেন মিঠু, নবীগঞ্জ থেকে : হবিগঞ্জ-১(নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের সাবেক এমপি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এম.এ. মুনিম চৌধুরী বাবুর মালিকাধীন ফিশারী গুঙ্গিয়াজুড়ি হাওড় এলাকা থেকে মঙ্গলবার (২০ জুলাই) বিকালে জাহাঙ্গীর মিয়া (৩৫) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উক্ত জাহাঙ্গীর প্রায় ৩ মাস যাবৎ সাবেক এমপির ফিশারীতে পাহাড়াদার হিসেবে কাজ করে আসছে। এটা হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের স্বজনরা এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবী করেছেন।
সুত্রে জানাযায়, হবিগঞ্জ-১ আসনের (নবীগঞ্জ-বাহুবলের) সাবেক এমপি এম.এ. মুনিম চৌধুরী বাবুর মালিকাধীন ফিশারীতে কুর্শি ইউপির আব্দুল মতিনের ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া কাজ করতো। সে ওই ফিশারীর পাড়ে সফিক মিয়ার একটি ঘরে বসবাস করে আসছিল।
সাবেক এমপি মুনিম চৌধুরী বাবু তার ফিশারী রক্ষনাবেক্ষনের কাজে নিয়োজিত পাহাড়াদারদের জন্য একটি ঘর নির্মাণ করেন।
মিলাদ পড়ে সেই ঘরটি উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ফিশারীর পাহাড়াদার জাহাঙ্গীর মিয়া ঈদের আগের দিন বাড়িতে আসার জন্য ছুটি নেন দু’দিন আগে। তার পরিবর্তে মঙ্গলবার সকালে লাল মিয়া নামে অপর কর্মচারী ফিশারীতে যাওয়ার পরই বাড়ি আসবে জাহাঙ্গীর। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে জাহাঙ্গীরের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
লাল মিয়া লেবুর ছাড়া নিয়ে বেলা ৩ টায় বাউসা ইউপির গুঙ্গিয়াজুড়ি হাওরে সাবেক এমপির ফিশারীতে যান। তিনি সফিক মিয়ার ঘর তালা বদ্ধ দেখে চলে যান নতুন ঘরে। সেখানে গিয়ে জাহাঙ্গীরের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। নির্ঝন স্থানে কেউ তার চিৎকার শুনতে পায়নি। ঘটনাটি তার মালিক সাবেক এমপি মুনিম চৌধুরী বাবুকে জানান।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ ডালিম আহমদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল যান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নবীগঞ্জ বাহুবলের সার্কেল এসপি মোঃ আবুল খায়ের। পুলিশ মৃত জাহাঙ্গীরের লাশের কাছ থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। পরে বিবস্ত্র জাহাঙ্গীরের মৃতদেহ’র ছুরতহাল তৈরী করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছেন।
এ ঘটনাটি মৃতের পরিবার একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবী করেছেন। বাহুবল সার্কেল এসপি আবুল খায়ের বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটা আত্মহত্যা হতে পারে তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর মুল কারণ জানা যাবে।