নিজস্ব প্রতিবেদক : ধীরে ধীরে আসছে শীত। আর ঠান্ডা আবহাওয়ায় করোনা ভাইরাস খুব বেশি সক্রিয় থাকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশ ও করোনার দিত্বীয় ঢেউ আসতে পারে বলেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সরকার করোনা ভাইরাসকে মোকাবেলা করার জন্য বেশ প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহন করেছে, কিন্তু সাধারণ মানুষ এখনো তা সঠিকভাবে আমলে নেয়নি।
করোনা ভাইরাস হাচি, কাশি থেকেই বেশি ছড়ায় সেজন্য মাস্ক পড়ার বিকল্প নেই। সরকার যেখানে সরকারী ও বেসরকারী অফিস আদালতে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করেছে, তেমনি মাস্ক না পড়লে গ্রাহকদেরকে ও সেবা দিতে নিষেধ করেছে। কিন্তু শায়েস্তাগঞ্জে মাস্ক পড়ার দারদারি করছেন না কেউ। সরজমিনে দেখা গেছে, হাটে বাজারে, এমনকি অফিস আদালতে ও মাস্ক ছাড়াই যাওয়া আসা করছেন সবাই। হাটে বাজারে মাস্ক ছাড়াই চলছে বেচাকেনা, দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এমনকি লোকাল গাড়িগুলোতে ও মাস্ক ছাড়াই যাওয়া আসা করছে মানুষ। দেশে মার্চ মাস থেকে করোনা ভাইরাস হানা দিলে এর কয়েকমাস পর থেকে বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের সেফটির জন্য মাস্ক ব্যবহার করতেন।
কিন্তু এখন মানুষের মাঝে একটা একগেয়েমি ভাব চলে এসেছে, তাই মাস্কের ব্যবহার কমে গেছে বলে অনেকেই মনে করেন। কিন্তু করোনা ভাইরাস থেকে বাচার জন্য মাস্কের ব্যবহারের বিকল্প নেই। আবার খুব কম সংখ্যক মানুষ আছেন তারা এখনো মাস্ক ব্যবহার করেন। শায়েস্তাগঞ্জের গ্রামে গঞ্জে এমন ও আছে যারা মাস্ক পড়লে এখন হাসাহাসি করেন।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলাম জায়েদ বলেন, আমি অফিসিয়ালি কাজে একটু বাহিরে আছি, আগামীকাল উপজেলার আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে এ বিষয়ে জরুরীভাবে আলোচনা করব। এবং পুরো শায়েস্তাগঞ্জবাসীকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা হবে, এরপরে ও মানুষ সচেতন নাহলে আমরা সরাসরি একশনে যাব।