মোঃ আবুল কাশেম,বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : যুক্তরাজ্যের ব্রিকলেন জামে মসজিদের চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, প্রবাসী কমিউনিটি নেতা আতাউর রহমান চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার বাইশঘর গ্রামের গতকাল বাদ আছর দ্বিতীয় জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের কবরে পাশে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

এর আগে গতকাল বাদ জোহর সিলেট নগরীর টিলাগড় জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে তার প্রথম জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

গত ১৫ এপ্রিল আতাউর রহমান চৌধুরী যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরীর বড় ভাই।

গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে আতাউর রহমানের লাশ সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে।

টিলাগড় জামে মসজিদে প্রথম জানাযার নামাজের পূর্বে মরহুমের কর্মময় জীবন নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আশফাক আহমদ ও মরহুমের ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী।

বক্তারা বলেন- আতাউর রহমান চৌধুরী ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ ও সাদা মনের মানুষ। ব্রিকলেনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তিনি শুধু মসজিদ প্রতিষ্ঠাই করেননি, আমৃত্যু মসজিদের খেদমতও করে গেছেন। প্রবাসে বসবাস করলেও আতাউর রহমান চৌধুরী ছিলেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি যুক্তরাজ্যে সংগঠকের গ্ররুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। টিলাগড় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত জানাজার নামাজে ইমামতি করেন মরহুমের নাতী শহিদুর রহমান চৌধুরী। বাইশঘর গ্রামে দ্বিতীয় জানাযার নামাজের ইমামতি করেন আল্লামা কমর উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী। জানাজা শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হুছাম উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী।

প্রথম জানাযার নামাজে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন সাবেক গণপরিষদ সদস্য লুৎফুর রহমান চৌধুরী, জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালিক, এডভোকেট রাজ উদ্দিন, টিলাগড় পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান মানিক, সাধারণ সম্পাদক ছমর উদ্দিন মানিক, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি অধ্যাপক মকসুদ আলী, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বদরুল ইসলাম শোয়েব, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি একেএম শমিউল আলম, সাবেক সভাপতি ইইউ শহীদুল ইসলাম শাহীন, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুর রকিব তুহিন, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি, যুগ্ম আহ্বায়ক মুশফিক জায়গীরদার, আসাদুজ্জামান আসাদ, সীমান্তিকের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রাহাত তরফদার, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রশিদুল ইসলাম রাশেদ, সাধারণ সম্পাদক এম. রায়হান চৌধুরী প্রমুখ।

২য় জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট শাহ মোশাহিদ আলী, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শেখ মখলু মিয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হরমুজ আলী, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আকমল হোসেন, বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুল হক, বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজম্মিল আলী, সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার, বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনহার মিয়া, ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান নাজলু, বিশ্বনাথ ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পংকি খান, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামীম আহমদ, কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, কানাঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রানা, বিশ্বনাথ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, বিশ্বনাথ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন, বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ফয়জুল ইসলাম জয়, যুগ্ম আহ্বায়ক মুহিবর রহমান সুইট, বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি তোরাব আলী, কানাইঘাট উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জুনেদ মিয়া প্রমুখ।