নিজস্ব প্রতিবেদক : হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক গাছ সম্প্রতি চুরি হয়ে গেছে। মহাসড়কের দুপাশে লাগানো বড় বড় গাছগুলো রাতের আধারে কে বা কারা কেটে নিয়ে যায়।
সুতাং এলাকার প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, এই এলাকার একটি সংঘবদ্ধ চক্র মিলে দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও শায়েস্তাগঞ্জ-শাহজীবাজার সড়ক থেকে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রি করছে। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে আর আমার অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই গাছ চুরি বন্ধ হবে।
সরেজমিনে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সম্প্রতি মহাসড়কের পাশে রোপণকৃত বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় অর্ধশতাধিক গাছ কাটা হয়েছে।
মহাসড়কের দুপাশের গাছ চুরির বন্ধ করতে ওই এলাকার তরুণ সমাজসেবক গোলাম সারোয়ার বাবুল মঙ্গলবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ ছাড়াও ওই এলাকার অনেকেই এই ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়ে উঠেছেন।
অথচ এ বিষয়ে কিছুই জানেন না মহাসড়ক ও গাছগুলির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
এ বিষয়ে নুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মুখলিছ মিয়া জানান, মহাসড়কের গাছ এভাবে কেটে নেওয়াকে দুঃসাহসিক বলা চলে। তাছাড়া একটা গাছ কাটতে তো অনেক সময়েরও প্রয়োজন হয়। সব মিলিয়ে বিষয়টি শায়েস্তাগঞ্জ থানার নজরেও আনা দরকার বলে আমি মনে করি এবং যেহেতু আমার নজরে আসছে আমি পরবর্তীতে নিজেও প্রশাসনকে সাথে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজ্জামেল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো। তবে টহল পুলিশকে আরও সর্তক করা হবে যাতে রাতের আধারে সড়ক ও মহাসড়কের দুপাশে লাগানো গাছ কেউ কেটে নিয়ে যেতে না পারে।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জ্যোতিষ গোস্বামী বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে পড়েনি। মহাসড়কের দুপাশ থেকে গাছ উধাওয়ের বিষয়টি প্রশাসনও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করব।
এরই সাথে আমরা নজরদারি বাড়াব। সরকারি সম্পত্তি ব্যহত হতে দেয়া যাবে না।