স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খান বলেছেন, হাওরাঞ্চল খ্যাত বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ এক সময় ছিল চরম অবহেলিত। এখানে ৬ মাস নৌকা আর ৬ মাস পায়ে হেটে চলাচল করতে হতো। আজ দিনরাত পরিশ্রম করে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে এসেছি।
১১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ শরীফ উদ্দিন সড়ক নির্মাণ কাজ শেষের দিকে, ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে শিবপাশা সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আজমিরীগঞ্জ হইতে পাহাড়পুর রাস্তা ৮ কিলোমিটার রাস্তার কাজ সমাপ্ত হয়েছে বাকী ৮ কিলোমিটার রাস্তার কাজ চলমান, বানিয়াচং হইতে পাহাড়পুর রাস্তার কাজ চলমান, বদলপুর ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ করেছি, পাহাড়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করেছি, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ২ কোটি ৭০লাখ টাকা ব্যয়ে পাহাড়পুর কলেজে আধুনিক নতুন ভবন নির্মাণ করেছি। গ্রামে গ্রামে বিদ্যুতায়ন করে হাওড় অঞ্চলকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে এসেছি । স্বাধীনতার পর ৩৭ বছরে দুই উপজেলায় বিভিন্ন সরকারে ৩৮০ কিঃ মিঃ বিদ্যুতায়ন করে ছিল। আর আমি ১০বছরে ৫০২ কিঃ মিঃ বিদ্যুতায়ন করেছি। আরো প্রায় ১০০কিঃ মিঃ বিদ্যুতায়নের কাজ চলমান আছে । এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকার কারণে । শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে এত উন্নয়ন করা সম্ভব হতো । উন্নয়নের মূল কারিগর জননেত্রী শেখ হাসিনা।
আপনাদের এলাকা কি ছিল আর কি হয়েছে তা আপনারই ভাল জানেন । শুধু আপনাদের এলাকানয় বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় উন্নয়নের জোয়ার বইতেছে। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। শেখ হাসিনার দুরদর্শী চিন্তার ফলেই দেশে এ ধরণের বৈপ্লবিক উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা পেতে হলে গ্রাহকদের আরও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে হবে। নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে প্রয়োজন ছাড়া যাতে কোন লাইট বা ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি চালু না থাকে। তাহলেই জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার মহতী উদ্যোগ সফল হবে।
গতকাল শনিবার বিকেলে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ২নং ইউনিয়নের পাহাড়পুর, পাহাড়পুর বাজার পূর্ব কালনী, মটিয়াখাড়া, সুনামপুর, বলদী, মামুদপুর গ্রামে ৩ কোটি ৮লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫০০টি পরিবারে ২২কিঃ মিঃ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন উপলক্ষে গ্রামবাসীর উদ্যোগে পাহাড়পুর খেলার মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এমপি মজিদ খান আরও বলেন, উন্নয়ন যদি পেতে চান তাহলে নৌকায় ভোট দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম নাহলে এ দেশ স্বাধীন হতো না। আর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে আমরা উন্নয়ন পেতাম না। সকল উন্নয়নের মূল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার আমলে এমপি হতে পেরেছি বলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি।
সভায় এলাকার মুরুব্বীয়ান বলেন, একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে আধুনিক রাস্তা হয়েছে, পাহাড়পুর কলেজ আধুনিক ভবন নির্মাণ হয়েছে, ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ হয়েছে, হাই স্কুলে ভবন নির্মাণ হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণ হয়েছে, সর্ব শেষে ৭টি গ্রামে ৩কোটি ৮লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যুতায়ন করে দিয়ে উপ শহরে পরিণত করে দিয়েছেন ।
এখন শহরের মতো আমরা নাগরিক সুবিধা ভোগ করতে পারবো। এর স্বপ্নিক কারিগর এমপি মজিদ খান জনসভায় বক্তারা আরো বলেন, এমপি এডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খান উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর উন্নয়নের ৯ বছর। তিনি সততার সাথে কাজ করে যে উন্নয়ন করেছেন স্বাধীনতার পর কোন এমপি এত উন্নয়ন করতে পারেনি।
তিনি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজে খোঁজে এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন। তিনি উন্নয়নের পাশাপাশি দলকে সুসংগঠিত করেছেন, এখন দল অনেক বড় হয়েছে দলে নেতা কর্মী বৃদ্ধি পেয়েছে, উন্নয়নের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে শতভাগ ভোট দিয়ে এমপি এডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খান মহোদয়কে পূণঃরায় এমপি নির্বাচিত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পাহাড়পুর গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বী ও মুক্তিযোদ্ধা গোপাল চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা কৃষ্ণ চরম সরকারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা হাসান, প্রচার সম্পাদক ও জেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার দেব মনা, জেলা স্চ্ছোসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ কামরুল হাসান, জেলা পরিষদের সদস্য নাজমুল, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার শিখা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিছবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সম্পাদক মনোয়ার আলী, শচীন্দ্র কলেজের প্রভাষক গৌতম সরকার, ১০নং সুবিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, ২নং বদলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুসেনজিৎ চৌধুরী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হীরেন্দ্র পুরকায়স্থ, আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল হোসেন, আরো বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রতিকান্ত সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় দেব দাস, মুক্তিযোদ্ধা সুরেন্দ্র কুমার সরকার, কৃষ্ণ কান্ত দাস অরুণ মেম্বার, পীযূষ চৌধুরী, সমীর দাস, প্রমুখ ।