স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের বিভিন্ন পুকুরে ৩৩৪ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। সরকারি রাজস্ব কর্মসূচির আওতায় এই মাছের পোনা অবমুক্ত করে সদর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর।

সোমবার সকালে হবিগঞ্জ শহরের প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) পুকুরে পোনা অবমুক্তকরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির।

এ সময় তিনি বলেন, প্রবাদ আছে- আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। কিন্তু মৎস্য সম্পদের সম্প্রসারণে বর্তমান সরকারের আন্তরিকতা থাকা সত্ত্বেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং মাছ শিকারীদের কারণে কমতে চলেছে দেশীয় মাছ। আইন অমান্য করে যারা মাছ শিকার করে তাদের শাস্তি নিশ্চিতে সবাই সচেতন থাকুন। তাহলেই শেখ হাসিনা সরকারের মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে। এ সময় তিনি মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে পোনা এবং মাছ শিকার থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।

পেনা অবুমুক্ত কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহজাহাদা খসরু, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ, খামার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী নারায়ন দাশ জানান, সদর উপজেলার ১২টি পুকুরে সর্বমোট ৩৩৪ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। ১ লাখ টাকা ব্যয়ে শায়েস্তাগঞ্জ মৎস্য উৎপাদন কেন্দ্র থেকে এই পোনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধে রয়েছে- রুই, কাতলা, কালবাউস এবং ঘনিয়া মাছের পোনা।

হবিগঞ্জ শহরের জজকোর্ট পুকুরে ৪০ কেজি, জেলা প্রশাসকের বাসভবনে পুকুরে ৩০ কেজি, পুলিশ সুপারের বাসভবনের পুকুরে ৩০ কেজি, প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই)’র পুকুরে ৩৪ কেজি, আনসার ভিডিপি অফিসের পুকুরে ২০ কেজি, নার্সিং ইনস্টিটিউটের পুকুরে ২০ কেজি, সরকারি শিশু পরিবারের পুকুরে ২০ কেজি, হবিগঞ্জ জেলা কারাগার পুকুরে ২০ কেজি, পুলিশ লাইন্স এর পুকুরে ২০ কেজি, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পুকুরে ২০ কেজি, আলাপুর আবাসনের পুকুরে ৪০ কেজি এবং চরহামুয়া আবাসনের পুকুরে ৪০ কেজি মোট ৩৩৪ কেজি মাছের পোনা অবুমুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।