মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ১৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা। তাই যেকোনো মুহূর্তে ভবন ধসে দুর্ঘটনার আশাংকা রয়েছে।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এখানকার কয়েক ইউনিয়নের ১৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরোনো আধাপাকা ভবন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কয়েক বছর আগে এ বিদ্যালয় গুলো অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয় কিন্তু সংষ্কারের অভাবে ঝুঁকি নিয়েই পাঠদান কার্যক্রম চলছে।

এতে দুর্ঘটনার আশংকায় পড়াশোনায় বিঘ্নসহ অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় গুলো হলোঃ বড় ভাকৈর (পশ্চিম) ইউনিয়নের,সোনাপুর-জগন্নাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাউসী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চৌকি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের, হরিনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের, নাদামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মো ̄Íফাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। কুর্শি ইউনিয়নের, এনাতাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাহিরপুর বালিকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। কালিয়ারভা১⁄২া ইউনিয়নের, মান্দারকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বাউসা ইউনিয়নের, বাউসা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাইকপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন গধাম ইমামবাঐ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। দেবপাড়া ইউনিয়নের, ঝিটকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফরিদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।কোনো কোনো বিদ্যালয়ের দুই পাশের দেয়াল ভেঙে পড়েছে।

আবার কোনো দেয়ালে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ছাদের পলে ̄Íার খসে পড়েছে। অনেক বিদ্যালয়ের উপরের টিনের ছাউনি ভেঙে গেছে। তবুও শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান করছে। অনেক আগে ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। অনেক শিক্ষার্থী বধ ̈াক ও আশধয় প্রকল্পের বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা পধাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভবন জনিত নানা সমস্যার কারণে উক্ত বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে যথাযথ ব্যবস্তা নেওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে জরাজীর্ণ বিদ্যালয় গুলোর তালিকা পাঠানো হয়েছে।