স্টাফ রির্পোটার ॥ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশ পুর, বুল্লা, ছাতিয়াইন, ও নোয়াপাড়া ইউনিয়নে ঘর বাড়ি,গাছপালা, বোর ফসল, ক্ষতি গ্রস্থ হওয়ায় পরিবারের কান্না। অন্য দিকে ৪ টি ইউনিয়নের ব্রীজ, রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় জনসাধারণ ও স্কুল ছাত্র-ছাত্রী চলাচলে দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে। জানাযায়, অতি বৃষ্টি, অতি সিলা বৃষ্টি, নদীর পানি ও পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে যাওয়ার ফলে চারটি ইউনিয়নের জনসাধারণ ক্ষতি সাধন হওয়ায় দেখার মত কেউ নেই।
সরজমিনে দেখা যায় খড়কী গ্রামের পশ্চিম জামে মসজিদ থেকে খড়কী উত্তর পাড়ার মক্তব পর্যন্ত মাটির রাস্তা,একটি পাকা কালভার্ড ব্রীজ ও একটি কাঠের ব্রীজ ভেঙ্গে বর্নার পানি তে তলিয়ে যায়। এবং উক্ত খড়কী গ্রামের মক্তব খানা ভেঙ্গে যাওয়ায় শিশুরা মক্তবে গিয়ে পড়া শুনা করতে পারছেনা ।
এ অঞ্চলে বছরে একবার ফসল হয়। আর এ ফসল তোলে সারা বছরের খাদ্য ও অন্যান্ন খরচ নির্বাহ করেন। কিন্তু কয়েক দিনের টানা বর্ষণে কৃষক পরিবার গুলো হতাশায় দিনাতিপাত করছে। এ ব্যাপারে জগদীশপুুর ইউনিয়নের খড়কী গ্রামের ফারুক মিয়া এক কৃষকের সঙ্গে তিনি বলেন, খড়কী গ্রামের ইট সলিং, কাঁচা রাস্তা, ফসল দুটি ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ায় জনসাধারণ ও স্কুল ছাত্র-ছাত্রীরা সহ রোগী নিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্ট কর।
সূত্রে জানাযায় মাধবপুর উপজেলার দানবীর সৈয়দ মো: ফয়সল ১ লক্ষ টাকা অনুদান করেন খড়কী গ্রামের কাঠের ব্রীজ নির্মাণের জন্য । কিন্তু এ গ্রামে দীর্ঘ বছর ধরে কাঠের ব্রীজের উপর দিয়ে লোকজন চলাচল করলে বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় এ কাঠের ব্রীজ টি । পরে গ্রামের জনসাধারণ ও স্কুল ছাত্র-ছাত্রীরা বাঁশের সাঁকো নির্মান করে পারাপাড় হচ্ছে ।
উক্ত সাঁকো দিয়ে স্কুল ছাত্র-ছাত্রীরা পারাপাড়ের সময় সাঁকো থেকে পানি তে পড়ে গিয়ে স্কুলে যেতে পারেনা । পাশাপাশি বয়স্ক এবং রোগী জনসাধারণের অনেকেই পারাপাড় হতে পারেন নি এই সাঁকো। অপর দিকে ছাতিয়াইন, বুল্লা, নোয়াপাড়া ইউনিয়নে অতি সিলা বৃষ্টিতে ৫ শতাধিক ঘর বাড়ি ,গাছপালা ক্ষতি গ্রস্থ ও পাহাড়ি ঢল, নদীর পানি ও বন্যার পানিতে বোর ফসল তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকের কান্না ও দূর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এতে ধানের ফসল পচে পশু পাখি মহামারি সহ শিশুদের ডায়রিয়া,জ্বর দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষ ক্ষতি গ্রস্থদের প্রতি এগিয়ে আসা উচিত।