হাফিজুর রহমান আবু হানিফাঃ হাওর অঞ্চলে মানুষের কষ্ট লাঘবে হাওরে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। হাওর অঞ্চলের বাঁধ নির্মাণে কারও কোন ধরনের গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এসব বাঁধ নির্মাণে কোনো ধরনের অবহেলা থাকলে তা ছাড় দেওয়া হবে না।
রোববার সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় হাওর এলাকা পরিদর্শনের পর উপজেলার শাহীদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এক মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওর অঞ্চলের মানুষ প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধে থাকে। এসব এলাকায় বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করা হবে।
আগামী ফসল না ওঠা পর্যন্ত খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। শুধু ফসলের ওপর নির্ভরশীল না থেকে মাছের উৎপাদন বাড়াতে হবে। মাছ উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে মাছের সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতের ব্যবস্থা যেন নেওয়া হয়, সে ব্যবস্থা করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘হাওর এলাকার নদীগুলো যেন ভরাট না হয়ে যায়, সেজন্য নদীগুলো ড্রেজিং করা হবে। হাওর এলাকায় খাল কাটা হবে এবং এসব খাল যেন বেশি পানি ধারণ করতে পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাওর উন্নয়ন বোর্ড সরকারের এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। আমাদের হাওর বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কারণ হাওরে যে পানি জমা হয়, এই পানিই সারাবছর নদীতে যায়। এই পানি এই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পৃক্ত।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল হক, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ও স্থানীয় সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তা।
এর আগে পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হাওরাঞ্চল পরিদর্শন এবং কৃষকদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য সুনামগঞ্জে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। উপজেলা সদরের শাহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্মিত হেলিপ্যাডে রোববার সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে।