শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন
এটিএম সালাম, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জের গৃহবধু ২ সন্তানের জননী রুবি বেগম (২২) স্বামীর যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার বিকালে পিত্রালয় দত্তগ্রাম শেখে পাড়ায় ( ভুমিহীন পাড়া ) শয়ন কক্ষে তীরের সাথে ফাসঁ লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গ্রামের লোকজন রুবির নিথড় দেহ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৃত আলী আহমদ এর মেয়ে রুবি বেগম’কে কয়েক বছর আগে বানিয়াচং থানার বেতকান্দি গ্রামের হাছান মিয়ার নিকট বিয়ে দেয়া হয়।
বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও তার বাড়ির লোকজন রুবিকে যৌতুকের জন্য মারপিটসহ নানা যন্ত্রনা দিতো। এরই মধ্যে রুবি বেগমের গর্ভে ও হাছানের ঔরষে দুটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
বড় ছেলের বয়স ২ বছর ও ছোট ছেলের বয়স ১ বছর। গত বৃহস্পতিবার বিকালে স্বামী হাছান মিয়া রুবি বেগম’কে মারপিট করে দু’ সন্তানকে রেখে রুবি বেগম’কে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়। ঘটনাটি গ্রামের মুরুব্বীয়ানদের জানানোর জন্য শুক্রবার দুপুরে রুবি এর মা শেলী বেগম মেয়ে ঘরে রেখে বের হয়ে যান।
এর ফাকেঁ রুবি ঘরের দরঝা বন্ধ করে পড়নের ওড়না দিয়ে ঘরের তীরের সাথে গলায় ফাঁস লাগায়। এ সময় রুবি বেগমের অপর বোন শিরীন বেগম তার স্বামীর বাড়ি বাউসা ইউপির দৌলতপুর থেকে পিত্রালয়ে এসে ঘরের দরঝা বন্ধ দেখে হাকডাক দেয়।
ভিতর থেকে কোন রা শব্দ না পেয়ে বেড়ার ফাঁক দিয়ে দেখতে পায় রুবি বেগম তীরের সাথে ঝুলন্ত রয়েছে। সাথে সাথে ঘরের দরঝা ভেঙ্গে ওড়না কেটে নীচে নামায়।
এ সময় তার শুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রুবিকে নিয়ে নবীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় নিহতের মা-বোন ও আত্মীয় স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
তাদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভাড়ি হয়ে উঠে। হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন নিহতের মা শেলী বেগম।
