নিজস্ব প্রতিনিধি : গুলশান ও শোয়ালাকিয়ায় জঙ্গী হামলার ঘটনার পর র্যাব সারা দেশে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টায় র্যাব ফেইজবুক সাইটে ওই তালিকায় ২৬১ জন নিখোঁজের নাম পরিচয় দেয়া হয়।
এর মধ্যে হবিগঞ্জের দুই যুবকসহ সিলেট বিভাগের ৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
তারা হচ্ছে- লাখাই উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের কুতুব আলীর ছেলে মঈন উদ্দিন (২০)। সে ঢাকার তেজকুনিপাড়ার রেশ কলোনিতে বসবাস করতো। গত ২৬ মে থেকে সে নিখোঁজ রয়েছে। এ ব্যাপারে তেজগাঁও থানায় ২৭ মে একটি জিডি করা হয়েছে। যার নম্বর ১৬২৩।
মাধবপুর উপজেলার সুন্দাদিল কাজিবাড়ির মো. সুলাইমানের ছেলে মো. নাহিদুল ইসলাম ইমন গত ২৮ মে ব্রহ্মণবাড়িয়া সদরের পশ্চিম মেড্ডা পীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। ৩১ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি জিডি করা হয়। যার নম্বর ১৫২৭।
সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার ঝিংগাবাড়ির মো. তাজুল ইসলাম রুনেল (৩৮) গত বছরের ৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পাহাড়তলির ঝুলারহাট মামুনের কলোনি থেকে নিখোঁজ হন। এ ব্যাপারে সিলেট কতোয়ালী থানায় ১০ ডিসেম্বর একটি জিডি করা হয়। যার নম্বর ৬৮১।
একই উপজেলার কান্দলা গ্রামের মুজাম্মিল আলীর ছেলে শামীম আহমদ (৩৫) গত ২৭ জুন চট্টগ্রামের পাহাড়তলির ঝুলারহাটের মামুনের কলোনি থেকে নিখোঁজ হন। এ ব্যাপারে ৩ জুলাই সিলেট কতোয়ালী থানায় একটি জিডি করা হয়। যার নম্বর ১৫৬।
এছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার সাদিমাপুর বড়গ্রামের শফি আহমেদ চৌধুরীর ছেলে তামিম আহমেদ চৌধুরী, জকিগঞ্জ উপজেলার আমলশীদ গ্রামের মৃত আব্দুল হান্নানের ছেলে সাদিকুর রহমান জুবের, সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের মোসাজাদ হোসেন (৪৫), জগন্নাথপুর উপজেলার ইশানকোণা গ্রামের সৈয়দ জাহাঙ্গীর মিয়া।
তবে উল্লেখিত ৩ জনের অভিভাবকদের নাম, কবে, কোথা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন তা তালিকায় উল্লেখ করা হয়নি। এমনকি এ বিষয়ে কোন জিডি করা হয়েছে কি-না তাও এখানে উল্লেখ করা নেই।