এম এ আই সজিব ॥ হবিগঞ্জ শহরতলীর গোপায়া ও তেতৈয়া গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গোপায়া ও তেতৈয়া গ্রামবাসির মধ্যে ফের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্সের সময় প্রায় ২৫/৩০টি দোকানপাট ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ দাঙ্গাবাজকে আটক করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে শহরতলীর গোপায়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আক্তার হোসেনের সমর্থক গোপায়া গ্রামের কামরুলের সাথে নির্বাচনী বিরোধের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা হয় পরাজিত চেয়াম্যান আওয়ামীলীগের প্রার্থী এডভোকেট আবুল কালামের সমর্থক সুজনের। পরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়।
এদিকে গত মঙ্গলবারের সংঘর্ষের জের হিসেবে বুধবার ভোর সকালে আবারো তেতৈয়া ও গোপায়া গ্রামবাসির লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষ চলাকালে ২৫/৩০টি দোকানপাট ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ সময় পুলিশ এলাকায় সাড়াষি অভিযান চালিয়ে তেতৈয়া গ্রামের শফিক মিয়ার পুত্র সুমন মিয়া, একই গ্রামের খুর্শেদ আলীর পুত্র মনসুর আহমেদ,আব্দুল আলীর পুত্র রবিন, আব্দুর রউফের পুত্র সোহেল, আনোয়ার আলীর পুত্র আমির হোসেন, ইউনুছ আলীর পুত্র এখলাছ মিয়া ও গোপায়া গ্রামের মৃত অনু মিয়ার পুত্র বাচ্চু মিয়াকে আটক করে।
এদিকে সংঘর্ষে বর্তমান চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অপর দিকে সংঘর্ষের বিষয়টি সালিশে নিস্পত্তির লক্ষ্যে গতকাল রাতে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আহমদুল হক ও পৌর আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক, চেম্বার প্রেসিডেন্ট মোতাচ্ছিরুল ইসলাম দুই গ্রামের সাথে আলাপ করে নিস্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছেন। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, পুণরায় সংঘর্ষ এড়াতে গোপায়া বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।