মাধবপুর প্রতিনিধি : মাধবপুর উপজলোর কালিকাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে গণধর্ষন করেছে দুই লম্পট। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের কালিকাপুর এলাকার উজ্জলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার উজ্জলপুর গ্রামের চা-বিক্রেতা আবু তাহের মিয়ার কন্যা ও কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী (১২) শুক্রবার রাতে স্থানীয় কালিকাপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় পথিমধ্যে উজ্জলপুর গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় পৌছুলে একই গ্রামের বাচ্চু মিয়ার লম্পট পুত্র সোহাগ মিয়া (১৯) ও রহমত আলীর লম্পট পুত্র মোহন মিয়া (২০) স্কুল ছাত্রীকে জোরপুর্বক পাশ্ববর্তি ধান ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে তার হাত-পা বেধেঁ পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় তার সুর-চিৎকারে আশপাশের গ্রামের লোকজন এগিয়ে আসলে লম্পট সোহাগ ও মোহন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় জনতা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এদিকে আবু তাহের মিয়া মাধবপুর থেকে তার মেয়েকে নিয়ে হবিগঞ্জ আসার পথে একই এলাকার নজরুল গাজী, আব্দুস শহীদ মেম্বার ও শাহ শিপন মিয়া নামের তিন ব্যক্তি বিষয়টি সামাজিক ভাবে মিমাংসার কথা বলে মাঝ রাত পর্যন্ত তাদেরকে নজরুল গাজীর অফিস কক্ষে আটকিয়ে রাখে। এ সময় তারা বিষয়টি নিয়ে কারো কাছে মূখ না খুলতেও বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দেয় বলে অভিযোগ করে ধর্ষিতার পরিবার। তাদের কথায় রাজি হলে ধর্ষকদের কাছ নগদ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি পূরন দিবে বলে আশ্বাস দেয়।
এদিকে অপর একটি সুত্র জানায়, প্রভাবশালী ওই ব্যক্তিরাসহ তাদের একটি গ্র“প প্রায় সময়ই এলাকার বিভিন্ন বিষয় মিমাংসার কথা বলে মানুষের সাথে প্রতারণা করে থাকে। এমনকি এলাকার নিরীহ জনসাধরণ যদি তাদের কথামত রাজি না হয় তাহলে মানুষ জনকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকিও দেয় বলে অভিযোগ করে অনেকে। এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার ওসি মোলা মুনির হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আবু তাহের মিয়া তার মেয়েকে নিয়ে শুক্রবার রাতেই থানায় এসেছিলেন। আমি তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করি। ওই মেয়ের পরিবারে পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া না গেলেও পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।