সৈয়দ হাবিবুর রহমান ডিউকঃ

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে গতবারের ন্যায় এবার ও করোনা ভাইরাসের কারণে সীমিত পরিসরে পালন করা হয়েছে পবিত্র আশুরা। এর মাঝে আবার বিকালে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে প্রচুর বৃষ্টি, বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়ে ও মানুষজন তাজিয়া মিছিল দেখার জন্য অপেক্ষা করেছেন। তাজিয়া মিছিলে কঠোর বিধিনিষেধ জারি থাকায় এবার তাজিয়া মিছিলসহ ডাক ঢোল আর ব্যান্ড পার্টিতে মুখরিত ছাড়াই মানুষের গণজমায়েত হয়েছে। শুক্রবার (২০ আগষ্ট) জুমার নামাজের পর থেকে মানুষজন আস্তে আস্তে করে একত্রিত হতে থাকেন। ইয়া হাসান" ইয়া হোসেন" ধ্বনিতে মর্সিয়া করে ত্যাগের মহিমায় পালন করেছেন মহররম। স্বাভাবিকভাবে হবিগঞ্জের সর্ববৃহৎ আকারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নে আশুরা উদযাপন করা হয়ে থাকে। কিন্তু সরকার থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিগত দুই বছর ধরে কেবল নিয়মরক্ষাভাবে পালিত হয়ে আসছে আশুরা। তবে, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নারী, পুরুষ, ছেলে, মেয়েরা তাজিয়া মিছিল দেখার জন্য এসে ভীর জমিয়েছেন নুরপুরে। লাল আর কালো নিশান নিয়ে দুই একটা তাজিয়া সাজিয়ে মিছিল ছাড়াই সমাহিত করা হয়েছে। চিৎকার আর ক্রন্দনে অনেক মানুষ মর্সিয়া করতে করতে ঢলে পড়তে দেখা গেছে।
প্রতিটি মোকামে দুই একটি করে বেত দিয়ে ঘোড়া বানানো হয়েছে, এগুলোর উপরে খই, মুড়ি ছিটিয়ে দেয়া হচ্ছে, বাচ্চারা এগুলো কুড়িয়ে খাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে শোকের। মাতমে ব্যাপকভাবে আশুরা উদযাপন করতে না পারায় এবার ও হতাশ হয়েছেন আশুরা উদযাপন করে আসা মোকামবাসীরা।
মর্সিয়া করতে আসা গোলাম সারোয়ার পলাশ জানান, এসেছিলাম তাজিয়া মিছিল দেখতে, কিন্তু তাজিয়া মিছিল আসেনি,তাই দেখতে পারিনি।

নুরপুর ইউনিয়নের শাহজীবাজার মোকামের খাদেমের পক্ষ থেকে সৈয়দ রাসেল জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধ থাকায় এবার বিভিন্ন গ্রামের একটি মোকাম থেকে মাত্র দশজন করে একত্রিত হয়ে আখেরী মোনাজাত করা হবে। এবার ও কোন ধরনের ডাকঢোল এবং তলোয়ার লাটি ঘুরানো, তাজিয়া মিছিল সবকিছু নিষেধ করা হয়েছে।
এছাড়াও সারাদেশের ন্যায় মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত শোকাবহ এই দিনটি রোযা, নফল নামাজ, ইবাদত বন্দেগী করে পালন করেছেন। শায়েস্তাগঞ্জের প্রতিটি মসজিদে কারবালার ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরে শোকে কাতর হয়ে সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়েছে।