বাহার উদ্দিন, লাখাই থেকে :

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে অজ্ঞাত পরিচয়হীন এক রোগীর চিকিতসা নিয়ে বিপাকে পড়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
বিগত ২ মাসাধিকাল যাবত এক পরিচয়হীন রোগী লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন থাকলেও অদ্যাবধি এ রোগীর সঠিক পরিচয় ও তথ্য পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এমনকি তাঁর কোন স্বজনও তাঁর খোঁজ নিতে আসেনি।বিগত ২ মাসে জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় তেমন কোন উন্নতি সাধিত না হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠানোও সম্ভব হয়ে উঠছে না।

এতে এ রোগী নিয়ে বিপাকেপড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে অজ্ঞাত পরিচয়হীন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুরুষ ওয়ার্ডের ৩৯ নম্বর বেডে বসে আছে। এই রোগীকে তার নাম ঠিকানা জানতে চাইলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম ঠিকানা বলে আসছে ।

হাসপাতালে ভর্তি থাকা এই রোগীকে তার নাম ঠিকানা জানতে চাইলে সে বলে আমার নাম আব্দুর রাজ্জাক পিতামৃত রাসিব গ্রামের নাম বলে পৌষ ডাঙা থানা কালী নগর জেলা হাড়িভাঙ্গা।

এ বিষয়ে হাসপাতালে কর্তব্যরত ওয়ার্ডে ডিউটিতে থাকা ডাক্তার কে এম মঞ্জুরুল আহসান জানান ৩৯ নং বেডে ভর্তি রোগী একজন হাড়ভাঙা রোগী যার চিকিৎসা আমাদের হাসপাতালে নেই কিন্তু কোন অভিভাবক না পাওয়ায় আমরা অনেক বিপাকে পরেছি এই রোগী নিয়ে।

তিনি আরো জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ২ মাস আগে লোকজন নিয়ে এসে এখানে ভর্তি করেছেন।

এ বিষয়ে বামৈ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আজাদ হোসেন ফুরুক এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান গত ২ মাস আগে আমাদের হাওড়ে পরে আছে দেখে এলাকার লোকজন আমাকে খবর দিলে আমি আমার লোকজন নিয়ে কথিত রোগীর ডান পায়ে রড লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেই।

সরেজমিনে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর কাছ থেকে বক্তব্য নেয়ার সময় হাসপাতালে ভর্তি থাকা অন্য রোগী ও রোগীর অভিভাবকগন জানান এই রোগীর পা থেকে পুঁজ ও রক্ত বেড় হওয়ায় মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ফলে আমাদের হাসপাতালে টিকে থাকাই দায়।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.কাজী শামসুল আরেফীন জানান এ রোগীর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না হলে আমার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যান্য রোগীর উপর সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আমি মনে করি। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই রোগীকে অর্থোপেডিক্স ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা করানো খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে।