হামিদুর রহমান,মাধবপুর থেকেঃ মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ভেঙ্গাডোবা গ্রামে নবজাতক শিশুকে হত্যা করে টয়লেটে পালিয়ে দেয়ার অভিযোগে পাষন্ড মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে থানার এস.আই মাসুদুজামান নবজাতক শিশুকে উদ্ধার ও মাকে গ্রেফতার করে।

এ ব্যাপারে ভেঙ্গাডোবা গ্রামের মৃত আব্দুল হক ভুলু’র স্ত্রী আছমা আক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উচাইল গ্রামের মহর আলীর মেয়ে হামিদা বেগম (৪০)কে প্রায় ১৫/১৬ বছর আগে বিয়ে দেয় একই গ্রামের ইসমাঈল মিয়ার কাছে । বিয়ের পর তাদের দু’টি কন্যা সন্তান জম্ম নেয়। কয়েক বছর পর ইসমাঈল মিয়ার সাথে বনিবনা না হওয়ায় মেয়েকে নিয়ে চলে আসে মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ভেঙ্গাডোবা গ্রামে। সেখানে একটি ছোট ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে।

এবং বেপড়–য়া জীবন যাপন শুরু করে। সম্প্রতি সে গর্ভবর্তী হয়ে পড়লে পাড়া প্রতিবেশীরা তাকে জিজ্ঞেস করলে হামিদা তার পেটে টিউমার হয়েছে বলে জানায়। বৃহস্পতিবার ভোররাতে হামিদা একটি শিশু ছেলে সন্তান জম্ম দেয় এবং লোকচক্ষুর আড়ালে ওই শিশুকে একটি টয়লেটে ফেলে দেয়ার সময় পার্শ্ববর্তী বাড়ীর লোকজন দেখে পেলে। ফলে প্রতিবেশীরা স্থানীয় ইউ/পি সদস্য সাফিয়া বেগমসহ মরব্বীদের ডেকে আনে।

এ খবর পাড়ায় ছড়িয়ে পড়লে সকালে শত শত নারী পুরুষ ওই স্থানে এসে জড়ো হয়। খবর পেয়ে বিকালে থানার এস.আই মাসুদুজামান নবজাতক শিশুকে উদ্ধার ও পাষন্ড মাকে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে এস.আই মাসুদুজামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান শিশুটির ময়না তদন্তের জন্য আজ শুক্রবার ভোরে হবিগঞ্জে পাঠানো হবে। এবং ওই এলাকার মৃত আব্দুল হক ভুলু’র স্ত্রী আছমা আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এ নিয়ে এলাকায় দারুন চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।