স্টাফ রিপোর্টার :

শোভাযাত্রা,আলোচনা সভা ও মাছের পোনা অবমুক্ত করার মধ্যদিয়ে শায়েস্তাগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালিত হয়েছে।

রবিবার ( ২৪ জুলাই ) সকাল ১১ টায় শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসের মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজরাতুন নাঈম এর সভাপতিত্বে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার জগদীশ দাস তালুকদার এর পরিচালনায় পালিত হয় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ অনুষ্ঠান।

শুরুতেই উপজেলার নিজস্ব পুকুরে পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয় ।

তারপরেই অনুষ্ঠিত হয় উপজেলা মিলনায়তনে মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠান।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল।

মৎস্য অফিসার কনিক চন্দ শর্মার স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান এ অংশগ্রহণ করেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গাজীউর রহমান ইমরান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তা আক্তার, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার কামরুল জমাদ্দার, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শেখ মুজিবুর রহমান, নুরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ মোখলেছ মিয়া, শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হাসান রতন, আবদুল্লাহ সদ্দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল হক আখনজি, মৎস্যজীবী নেতা এম এ মালেক ,উপজেলা অনলাইন প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুর ,উপজেলা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মোঃ মামুন চৌধুরী,মুহিন শিপন প্রমুখ।

সভায় উপজেলা মৎস্য অফিসার কনিক চন্দ শর্মা বলেন , শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা মাছের ঘাটতি পূরণে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে । তবে উপজেলায় চাহিদা ১ হাজার ৫৭০ মেট্রিক টনের বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ৫০৫ মেট্রিক টন মাছ । প্রয়োজনের তুলনায় উপজেলায় এখন ও ১ হাজার ৬৫ মেট্রিক টন মাছের ঘাটতি রয়েছে । পরিসংখ্যান অনুযায়ী শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় সরকারি পুকুর আছে ১৬ টি এবং বেসরকারি পুকুর আছে ৮২৪ টি ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজরাতুন নাঈম বলেন, আমরা আমাদের বরাদ্দ অনুযায়ী জলাশয় গুলোকে মাছ চাষের উপযুক্ত করে তুলব। প্রয়োজনে পদক্ষেপ নেয়া সহ পোনা মাছ যেন বিক্রি না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেব।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল বলেন, মৎস্য বাজার ব্যবস্থাপনায় মনিটরিং জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ের যে সকল মৎস্য চাষী আছেন তাদের মৎস্য চাষের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা সহ সরকারের সকল রকম বরাদ্দ যাতে সঠিকভাবে তাদের হাতে পৌঁছে সেই বিষয়টি এবং তাদেরকে ট্রেনিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা জরুরি বলে তিনি মৎস্য অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সবশেষে সকলে মিলে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উপজেলা প্রাঙ্গণ পদক্ষিণ শেষে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।