স্টাফ রিপোর্টার :
“মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করি, কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করি, প্রসবজনিত ফিস্টুলা নির্মল করি’’ এই প্রদিপাদ্য বিষয়ের আলোকে হবিগঞ্জে আন্তর্জাতিক প্রসবজনিত ফিস্টুলা নির্মল দিবস পালন করা হয়।
এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় শহরে র্যালিও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় জানানো হয় যে, ২০১৯সাল থেকে মে’২০২২ সাল পর্যন্ত হবিগঞ্জ জেলায় ফিস্টুলা রোগী চিহিৃত করা হয়েছে ৯০জনকে, উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে ৩৯জনকে, অপারেশন করা হয়েছে ৩৮জনকে এবং এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৩৩জন।
এর মধ্যে চা বাগান এলাকায় চিহিৃত করা হয়েছে ১১জনকে, উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে ৪জনকে, অপারেশন করা হয়েছে ৪জনকে এবং এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৩জন।
বক্তাগণ বলেন, ফিস্টুলা চেনার সহজ উপায় হচ্ছে মহিলার প্রসবের রাস্তা দিয়ে সব সময় প্রস্রাব বা পায়খানা অথবা উভয়ই ঝরতে থাকবে। প্রসবজনিত ফিস্টুলায় একজন নারীর জীবন দূর্বিসহ হয়ে উঠে। পরিবারের অবহেলা আর যন্ত্রনা নিয়ে বেড়াতে হয় বাকী জীবন। আর এসবের একমাত্র কারণ হলো সনাতন পদ্ধতিতে অদক্ষ ধাত্রী দ্বারা বাড়ীতে প্রসব করানো।
দীর্ঘ সময় প্রসব ব্যাথা ফিল্টুলার অন্যতম কারণ। তাই প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো, বাল্য বিবাহ এবং কম বয়সে বাচ্চা নেয়া থেকে বিরত থাকা, হাসপাতালে প্রসব করানে। তাই যদি প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীর সংখ্যা যদি বৃদ্ধি করা যায় তাহলে প্রসবজনিত ফিস্টুলা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে সিআইপিআরবি এবং ইউএনএফপিএ’র সহযোগিতায় সদর হাসপাতালে তত্বাবধায়ক ডাঃ আমিনুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নুরুল হক। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মেডিকেল অফিসার ডাঃ ওমর ফারুক, সিআইপিআরবি’র শারিমিন আক্তার প্রমুখ।