নিজস্ব প্রতিবেদক :
ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ৮ নং শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন রাত পোহালেই ৩১ জানুয়ারি সোমবার ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যেই সমস্ত প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
দিনের শেষ বেলায়ও দেখা যায়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গ্রামে গ্রামে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চায়ের দোকানে জমে উঠেছে ইউপি নির্বাচন। সবাইর মুখে একি কথা শুনা যায় কে হচ্ছে শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে মোঃ আব্দুস সামাদ, বর্তমান চেয়ারম্যান বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন মোহাম্মদ বুলবুল খান, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন মোহাম্মদ মোখলেস মিয়া, একই সাথে বর্তমান চেয়ারম্যান এর সহধর্মীনি মোসাম্মদ লাকি আক্তার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চশমা প্রতীকে নির্বাচন করছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহমেদ খানের তনয় আমিন আহমেদ খান রাজিব ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচন করছেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩৪ জন প্রার্থী। একইসাথে সংরক্ষিত আসনে মহিলা সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮ জন প্রার্থী।
আসন্ন শায়েস্তাগঞ্জ ইউপি নির্বাচনের বিষয়ে সর্বশেষ প্রস্তুতি ও সার্বিক অবস্থা নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন।
তিনি আরো বলেন, এই প্রথম শায়েস্তাগঞ্জ ইউপিতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে। প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ এবং গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোহাম্মদ মিনহাজুল ইসলাম কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই তিনজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোট কার্যক্রমকে সকলের জন্য নিরাপদ ও সুশৃংখল করার জন্য তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও ভোট প্রয়োগের সুশৃংখল পরিবেশ তৈরীর ক্ষেত্রে আমরা প্রশাসনিকভাবে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত আছি এবং বিষয়টি নজরে রাখছি। কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছি।
ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেব কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমরা আইন শৃঙ্খলার ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখছি। কোন রকম ছাড় দেয়া হবে না। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো।
সরকারদলীয় প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আব্দুস সামাদ বলেন, এখন পর্যন্ত পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আমার অনুকূলে। আমি আশাবাদী নৌকার জয় নিশ্চিত।
অপরদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী বুলবুল খান বলেন, সঠিক ভাবে ভোট হলে আমি বিপুল ভোটে জয়ী হব। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ মোখলেছ মিয়া বলেন, এ অঞ্চলের মানুষ এরশাদকে ভালোবাসেন অতএব লাঙ্গল কে ভালবেসে তারা ভোট আমাকেই দেবেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিন আহমেদ খান রাজিব বলেন, আমার বাবা এতদঞ্চলের মানুষের সেবা দিয়েছেন, তিনি প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা, তার কারণে এবং আমি একজন নবীন হিসেবে বাবার মতো করেই এলাকার মানুষের পাশে থাকতে চাই আমি ভোট পাব,জয় আমার হবে।
সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে আলাপ করলে তারা প্রতিবেদককে জানান, আমাদের ইউনিয়নে এই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে, আমরা অনেক উচ্ছ্বাস, কৌতুহল ও আগ্রহ নিয়ে ভোট দেয়ার অপেক্ষায় আছি। যদিও একটু দ্বিধাগ্রস্থ ইভিএম পদ্ধতিতে, তারপরেও আশাবাদী আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পারব।