সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুর, শায়েস্তাগঞ্জ থেকে ॥ হবিগঞ্জ শহরে মুখলিছুর রহমান ও চুনারুঘাটে সাটিয়াজুরী বাজারে এস এম কামালের নেতৃত্বে এসএসসির জাল সার্টিফিকেট দিয়ে অপর দুই ভুয়া চিকিৎসক হোমিও ব্যবসা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের প্রতারণার শিকার হয়ে অনেইে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। খোজ নিয়ে জানাযায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বড় বহুলা গ্রামের বাসিন্দা মুখলিছুর রহমান এসএসসি পরীক্ষার জাল সার্টিফিকেট তৈরী করে হবিগঞ্জ শহরে ফায়ার সার্ভিস রোডে “মিলন হোমিও” নামে একটি চিকিৎসালয় চালু করেছেন। এখান থেকে প্রতিদিন রোগীরা এসে তার কাছ থেকে হাজার হাজার টাকার ঔষধ নিচ্ছে। ঔষধে কাজ না হলে পরবর্তীতে তার কাছে আসলে কোন সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। ডাঃ মুখলিছুর এসএসসি জাল সার্টিফিকেট দিয়ে ডিএইচএমএস ডিগ্রী নিয়েছে। এরপর থেকে তার নামের পূর্বে ডাঃ ব্যবহার করে দাপটের সাথে হোমিও ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন তিনি।এক সময় তার সাথে পরিচয় হয় সরকারী চাকুরীজীবি ছুরত আলী তরফদার ও এসএম কামাল আলী নামের দুই ব্যক্তির। হোমিও প্যাথিক ব্যবসা করে রাতারাতি বড়লোক হওয়া যায় এ ধারণায় ভূয়া ডাক্তার মুখলিছুর রহমানের পরামর্শক্রমে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য কামাল ও ছুরুত আলী ডিএইচএমএস সনদ পাওয়ার জন্য সিলেট হোমিও মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। এ ডিগ্রী পাওয়ার পূর্বেই ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন এ দুই ব্যক্তি হোমিও ব্যবসা করে রোগীদের কাছথেকে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। অপর একটি সূত্রে জানাযায়, জে কে এন্ড এইচ কে হাই¯ু‹ল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হয়ে টাকার বিনিময়ে ভূয়া এসএসসি সার্টিফিকেট তৈরী করে মুখলিছুর রহমান সিলেট জালালাবাদ হোমিও কলেজ থেকে ডিএইচএমএস ডিগ্রী নিয়ে হবিগঞ্জশহরের ফায়ার সার্ভিস রোডে “মিলন হোমিও হল” প্রতিষ্ঠা করে। ‘মিলন হোমিও হল’ প্রতিষ্ঠার কোর্ট মসজিদ এলাকায় ‘রমজান হোমিও হল’ নামের অপর একটি চিকিৎসালয় দিয়ে পাইকারীভাবে ভেজাল ঔষধ বিক্রি করছেন তিনি। এদিকে এ ব্যবসাকে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুরী বাজারের ভূয়া চিকিৎসক এসএম কামাল। অপর একটি সূত্র জানায় ভূয়া ডাক্তার মুখলিছুর রহমান হোমিও প্যাথিক ব্যবসার পাশাপাশি নানা প্রতারণার ফাঁদ তৈরী করে হবিগঞ্জ হোমিও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি নিজেই এ কলেজের অধ্যক্ষ দাবী করে তার বাড়ীর সামনে সাইনবোর্ডে লিখেছেন “ডাক্তার বাড়ী”। হোমিও কলেজে ভর্তি না হলে হবিগঞ্জ জেরার কোথাও চিকিৎসা করা যাবেনা বলে সহজ সরল চিকিৎসকদের কাছথেকে তিনি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। গত রবিবার হবিগঞ্জ শহরে আলীম হোমিও হারবাল সহ দুই হারবাল প্রতিষ্টানকে জরিমানা ও সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। তাদের জেল-জরিমানার আওতায় আনাকে নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সাধারণ জনগন। কিন্তু হারবাল সেন্টারগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হলেও হোমিও প্রতিষ্ঠানে কোন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে না। ফলে ভূয়া হোমিও ডাক্তাররা থেকে যাচ্ছে ধরাছোয়ার বাইরে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ৪র্থ শ্রেনী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন মুখলিছুর রহমান। এরপর পেটের তাগিদে চাকুরী নেন ভগবতী প্রেসে মেশিন এসিস্ট্যান্ট হিসাবে। তাতেও পেটের ভাত হয়নি। দোকান কর্মচারী হিসাবে চাকুরী নেন কামাল হোমিও ক্লিনিকে। সেখানে অন্তত ১০ বছর চাকুরী করেন তিনি। এরপর মুখলিছুর রহমান নিজেই হোমিও প্যাথিক ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। হয়েও যান ডাক্তার! বাধ সাধে সার্টিফিকেট এ। গুনধর মুখলিছুর রহমানের কাছে সেটাও সম্ভব হয়ে যায়। ৪র্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর লেখাপড়া বন্ধ দিয়ে চাকুরী করলেও ১৯৯৭ সালে ঠিকই এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন তিনি। এসএসসি পরীক্ষায় ৫ বিষয়ে অকৃতকার্য্য হন মুখলিছুর রহমান। তাহার এসএসসি’র রোল নং ৫০৬৩৩০, রেজিঃ নং ৫১১৯৬৩, সেশন-১৯৯৫-৯৬। জেকে এন্ড এইচকে উচ্চ বিদ্যালয়ের খাতাপত্রে মুখলিছুর রহমান অকৃতকার্য্য হলেও তার কাছে রক্ষিত সার্টিফিকেট অনুযায়ী তিনি এসএসসি পাশ। সেই জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে মুখলিছুর রহমান হোমিও প্যাথিক এর ডিএইচএমএস সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেন এবং ড্রাগ লাইসেন্স সংগ্রহ করেন। শুধু তাই নয় কোনো ধরনের যোগ্যতা না থাকা স্বত্বেও মুখলিছুর রহমান হবিগঞ্জ শহরে ৩টি হোমিও প্যাথিক এর প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। এর মধ্যে তার অন্যতম প্রতারণা হচ্ছে “হবিগঞ্জ হোমিও প্যাথিক মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল” এর নামে ব্যাপক প্রতারণা। অনুমোদনকারী প্রতিষ্ঠান “বাংলাদেশ হোমিও বোর্ড” এর তালিকায় “হবিগঞ্জ হোমিও মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল” নামে কোনো কলেজের অস্তিত্ব নাই। ৪র্থ শ্রেণী পাশ মুখলিছুর রহমান নিজের নামের সাথে হবিগঞ্জ হোমিও কলেজের অধ্যক্ষ পদও ব্যবহার করে আসছেন। অভিযোগ রয়েছে যারা এসএসসি পাশ করতে পারেনি তাদের এসএসসি পাশ সার্টিফিকেট বানিয়ে দেয়ার দায়িত্বও নেন মুখলিছুর রহমান। একেকটি এসএসসি পাশ সার্টিফিকেট তৈরীর বিনিময়ে মুখলিছুর রহমান সর্বনিম্ন ৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেন। এসব অভিযোগে ইতিমধ্যে হবিগঞ্জ দূর্নিতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার পিতার নাম আদম আলী। উল্লেখ্য সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা ও অসহায়ত্বকে পুঁজি করে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করছে মুখলিছুর রহমান ও কামাল সহ আরও দুই সহযোগী। প্রতারণামূলকভাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের খেতাব ব্যবহার করে চিকিৎসাসেবার নামে স্বাস্থ্য খাতকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলছে তারা। কাজেই এ ধরনের ভুয়া চিকিৎসকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। দেখা গেছে, প্রায় ক্ষেত্রেই তারা রোগীদের সাময়িক উপশমকারী কিন্তু জীবনঘাতী ঝুঁকিপূর্ণ নিন্দিষ্ট কিছু ওষুধ দিয়ে থাকে। এর ফলে রোগের নিরাময় না হয়ে বরং রোগীর জীবন বিপন্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক। বাস্তবে হচ্ছেও তাই। বিশেষজ্ঞ নামধারী তথাকথিত এসব ভুয়া চিকিৎসকদের অপচিকিৎসার শিকার হয়ে রোগীরা কেবল শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তই হচ্ছে না, অনেক সময় মারাও যাচ্ছে। উল্লেখ্য তারা নারীদের বিশেষ অঙ্গের সৌর্ন্দয বৃদ্ধি বা সন্তান লাভের নামে অসামাজিক কার্যকলাপ, মোটা তাজা কিংবা স্লিম বানিয়ে দেয়ার কথা বলে মেনিংচুং নামীয় জার্মানী ও চাইনিজ ভাষার দুর্বেধ্য নামের ওষুধ দিয়ে কিডনি নষ্ট করা মত কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, অকাল গর্ভপাত ঘটানোসহ ভয়ংকর অভিযোগ উঠছে কথিত ওই সব ডাক্তারদের বিরুদ্ধে। অভিযোগে জানা যায়, ভূয়া ডাক্তার মুখলিছুর রহমান ও এস এম কামাল এর নেতৃত্বে হবিগঞ্জ শহরে ও চুনারুঘাটে সাটিয়াজুরী বাজারে এসএসসির জাল সার্টিফিকেট দিয়ে দুই ভূয়া চিকিৎসক হোমিও ব্যবসা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তাদের প্রতারনার শিকার হয়ে রোগীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এরপর থেকে দুই ভূয়া হোমিও চিকিৎসক তাদের নামের পূর্বে ডাঃ ব্যবহার করে দাপটের সাথে হোমিও ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, একবিংশ শতাব্দীতে যেখানে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জয় জয়কার সেখানে হবিগঞ্জে হোমিও চিকিৎসার নামে এমন প্রতারণা সুধী মহলকে অবাক করেছে। এখনো হবিগঞ্জের এক বিশাল জনগোষ্ঠী অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছেন। জেলা শহর, এমনকি উপজেলা শহরগুলোতে এখন হোমিও চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসার মহোৎসব চলছে। বিজ্ঞাপনে ডাক্তারের পদ-পদবি দেখে মানুষের মনে হওয়া স্বাভাবিক যে, চিকিৎসা বিদ্যায় এরা মহাপন্ডিত। অথচ খোঁজ নিলে দেখা যায়, এসব হোমিও চিকিৎসকের ন্যূনতম শিাগত যোগ্যতাও নেই। জানা যায়, ইউনানি ও আয়ুর্বেদির পাশাপাশি হোমিও চিকিৎসার নামে চলছে এই জমজমাট প্রতারণা। পুরুষত্বহীনতা ও নারীর দেহসৌষ্ঠবের আকর্ষণ বৃদ্ধির নামে তাদের কাছে মিলে মানহীন, ভেজাল, অকার্যকর ওষুধ। হোমিওপ্যাথের লেবেলে বেশ চাকচিক্যময় মোড়কে এসব ঔষধ দিচ্ছে মানুষদের। এসব পণ্যের মূল্য ২০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। রাতের শক্তি চায়না, সেঙ মদক, সেঙ কিং জিনসেং মালিশ, স্পেশাল পিএইচ পাওয়ার অয়েল, এইচএম ৬০ এনার্জি ক্যাপসুল, এইচএম এইচ পাওয়ার অয়েল, নিশি মালতি জেনিট, স্পেশাল এএইচ পাওয়ার অয়েল, বিএইচ পাওয়ার অয়েল, স্পেশাল এইচএম পাওয়ার মালিশ, মদক, সেঙ পাওয়ার মদক, ব্রেষ্টআপ লোশন, হর্স পাওয়ার লোশন, টাইগার ক্যাপসুল, সেঙ আম্বর ক্যাপসুল, সেঙ পাওয়ার জেলি, পাওয়ার গোপন লোশন, এইচপি কাপ, এইচপি মদক, খারাতিম লোশন, সেঙ্ পাওয়ার মালিশ, সেঙ্ পাওয়ার ক্যাপসুল, সেঙ পাওয়ার মদক, পুরুষত্বের প্রতীক মণিরাজ তেল, নারীর সৌন্দর্যের প্রতীক ডিএইচ ক্রিম, ইউএ কাপ, সেঙ্ পাওয়ার মদক, হর্স পাওয়ার লোশন, টাইগার ক্যাপসুল, নাইট কিং অয়েল, স্পেশাল অয়েল, ভারতীয় গরু মোটা-তাজা করণের এনার্জি প্লাস সিরাপ সহ বাহারী পণ্যের মাধ্যমে পুরুষ-নারীকে আকৃষ্ট করতে চায় ভূয়া প্রতিষ্ঠানগুলো। ওই সব প্রতিষ্ঠান পুরুষের বিশেষ অঙ্গের দুর্বলতা দূর করার স্পেশাল জেনিটাল ও মহিলাদের বিশেষ অঙ্গ ছোট বড় করার ক্রিম সম্পর্কে কথিত ভূয়া ডাক্তারদের নিকট জানতে চাইলে অনেকেই সুদত্তর দিতে পারেননি। অনেকেই বলেন, তাদের কাছে এ ধরনের কোনো পণ্য নেই। যৌন চিকিৎসার জন্য এসব ঔষধ কতটা মানসম্পন্ন এবং এ ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় কিনা জানতে চাইলে কথিত ভূয়া ডাক্তারদের অনেকেই চুপ থাকেন।জীবন-মৃত্যুর মাঝখানে আশার প্রদীপ হয়ে মানুষের সামনে যে মানুষটি বিরাজ করে-সে একজন চিকিৎসক। রোগে-শোকে কাতর মানুষের কাছে একজন চিকিৎসক বাস্তবিক অর্থেই হয়ে ওঠে আশার বাতিঘর। মানুষ আশা করে, চিকিৎসকের সযত পরামর্শ ও পরিচর্যায় তার চোখের সামনে থেকে মৃত্যুর ধূসর ছায়া অপসারিত হয়ে জীবন আবার উদ্ভাসিত হবে নানা রঙে। অথচ সে যদি ছল-চাতুরির আশ্রয় নিয়ে রোগীর সঙ্গে প্রতারণা করে, তবে তা মেনে নেয়া কষ্টকর। বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিৎসা, শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন শাখা একটি নিন্দেশনা জারি করেছিল। এতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন শেষ না হলে এবং বিএমডিসি-র রেজিস্ট্রেশন না পাওয়া অবধি চিকিৎসকদের নামের আগে বা পরে ডিগ্রি অর্জনের তথ্য উল্লেখ না করার জন্য বলা হয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহারকারী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের এখতিয়ার বিএমডিসি’র থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির আইনি কোনো ক্ষমতা নেই। ফলে প্রয়োজনে তারা কোনো অভিযান পরিচালনা বা অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। প্রতিষ্ঠানটির আইনি সক্ষমতা লাভ সাপেক্ষে চিকিৎসার নামে সৃষ্ট নৈরাজ্য অনেকটাই রোধ করা সম্ভব বলে আমরা মনে করি। ভুয়া চিকিৎসকদের খপ্পরে পড়ে মানুষ যাতে ভুল ও অপচিকিৎসার শিকার হয়ে প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেবে-এটাই প্রত্যাশা। সকল ভূয়া চিকিৎসকদের কে ড্রাগ সুপারের টাকার বিনিময়ে এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কিন্তু, লোক দেখানের জন্য মাঝে মধ্যে ঐসব প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমান আদালতকে নিয়ে জরিমানা ও সিলগালা করা হচ্ছে। পরে ঐ ভূয়া প্রতিষ্ঠান গুলি কিভাবে প্রতিষ্ঠান চালু রাখবে ড্রাগ সুপাররা যোগাযোগ রাখছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ কালের জেল ও প্রচুর অর্থ জরিমানা করলে এসব ভূয়া প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে বলে সচেতন মহল মনে করেন। #