কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/ সৈয়দ হাবিবুর রহমান ডিউক :
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে পরিত্যক্ত ভবনেই চলছে বন বিভাগের অফিসের কার্যক্রম। আবাসিক ভবন গুলোর একই অবস্তা। জীবনের ঝুকি নিয়ে এসব ভবনে বসবাস করছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

১৯৬৫ সালে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব লেন্জাপাড়া গ্রামে এক একর জমির উপর নির্মান করা হয় বন বিভাগের এ অফিস ।
দীর্ঘদিন ধরে বনবিভাগের অফিসটির কার্যক্রম ঝুকিপূর্ণ ভবনেই চলছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় অফিসের সামনে নেই কোন প্রতিরক্ষার সীমানা প্রাচীর। অফিসটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর তেমন কোন সংস্কার না হওয়ায় এ ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। খোজ নিয়ে জানা যায় যে, অতি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তিন ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে, তবুও নতুন ভবন করা হচ্ছেনা।

এদিকে বাকি ভবনগুলোর অবস্থা ও সংকটময়। এ ছাড়াও নেই নিরাপত্তা প্রাচীর, নেই নৈশ্য প্রহরী, কম্পিউটার । নেই কোন সিসি ক্যামেরাও।
এদিকে অফিস ভেঙ্গে পড়ার ঝুকি অন্যদিকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অফিসের কর্মরতরা।
রেঞ্জ অফিস সুত্রে জানা যায়, এ অফিসের রেঞ্জ কর্মকর্তার দায়িত্বে বাহুবলের পুটিজুরী বনবিট ও শায়েস্তাগঞ্জ বনজদ্রব্য পরীক্ষণ ফাঁড়ি দেখাশোনা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসে কর্মরত একজন বলেন নিজের জীবনের ঝুকি নিয়েই অর্পিত দায়িত্ব পালন করার জন্যই কাজ করে যাচ্ছি।

ভবনগুলোর অবস্থা করুন থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের টনক না নড়লে কি আর করার আছে।
শায়েস্তাগঞ্জ রেঞ্জ অফিসের পাশেই পুর্ব লেঞ্জাপাড়ার প্রবীণ মুরব্বী হাজী খোরশেদ মিয়া বলেন সরকারী একটি অফিস ঝুকিপূর্ণ থাকবে কেন। বহু দিন ধরেই ভাংগা চুরা অফিসেই কাজ করছে কর্মকর্তাও কর্মচারীরা। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা গঠতে পারে।

সংশিষ্ট ওর্য়াড কাউন্সিলর মো, নওয়াব আলী জানান, ঠিক কি কারণে রেঞ্জ অফিসটি অবহেলিত আমি বুঝে উঠতে পারছিনা, ঝুকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেংগে সীমানা প্রাচীরসহ একটি সুন্দর রেঞ্জ অফিস করার জন্য জোড় দাবি জানাচ্ছি।

শায়েস্তাগঞ্জ বন বিভাগের রেন্জ অফিসার আব্দুল খালেক বলেন আমাদের এ অফিসের সব গুলো ভবনই ঝুকিপৃর্ন। এবং সব গুলো ভবন কেই পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। পরিত্যক্ত ঘোষনাকৃত ভবন গুলোতেই আমাদের অফিসের কার্যক্রম চলছে। আবাসিক ভবন গুলোর একই অবস্থা।
জনবলের সংকট, নিরাপত্তা কর্মী নাই, কম্পিউটার ও সিসি ক্যামেরা নাই।

হবিগঞ্জ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ মারুফ হোসেন জানান, এই রেঞ্জ অফিসটি পূর্ন নির্মানের এর আওতাধীন আছে।

আগামী বছরের প্রথম দিকে হয়ত কাজ শুরু হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে এ সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এস এম সাজ্জাদ হোসেন দৈনিক শায়েস্তাগঞ্জকে বলেন, আমরা এ বিষয় এ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নতুন করে ভবন নির্মাণ করার জন্য মমন্ত্রনালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছি। আশা করছি কাজ শুরু করা হবে খুব শীঘ্রই।