নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর শহরের জয়নগর গ্রামে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় সন্দেহভাজন ধৃত আসামী শহরের আনমনু গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সফিকুর রহমানের ছেলে রং মিস্ত্রি শরিফুর রহমান নিপু’র নিঃর্শত মুক্তির দাবীতে এবং তাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে গত রবিবার রাতে আনমনু গ্রামে এক নাগরিক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। পৌরসভার সাবেক কমিশনার আব্দুস ছালামের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত নাগরিক সমাবেশে উপস্থিত হয়ে গ্রামবাসীর সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেছেন নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর চৌধুরী, পৌর মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগি আব্দুস শহীদ (সাহিদ মিয়া), প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুল জাহান চৌধুরী, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান শেফু, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল গফুর, আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোজাহিদ আহমদ, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, পল্লী বিদু ̈ৎ সমিতির সাবেক পরিচালক এডভোকেট ফারুক আহমদ, কাউন্সিলর শাহ রিজভী আহমদ খালেদ, প্রেস ক্লাব সভাপতি কাউন্সিলর এটিএম সালাম, মহরম আলী, ছাত্রনেতা মোশাহিদ আলম মুরাদ, জহিরুল ইসলাম সোহেল প্রমূখ। উ৩ সমাবেশে আনমনু গ্রামসহ আশপাশ এলাকার পধায় ৫ শতাধিক নানা শ্রেণী পেশার মানুষের উপস্থিতি ঘটে। প্রতিবাদ সমাবেশে গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, জয়নগর গ্রামে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ আনমনু গ্রামের নিরীহ ভদ্র ছেলে রং মিস্তিরি শরিফুর রহমান নিপু’কে আটকের খবরে তারা থানায় গিয়ে ওই ছেলে নিরাপরাধ এবং সমাজের ভাল ছেলে দাবী করে তাকে ছেড়ে দেয়ার অনুরুধ করেন। কিন্তু পুলিশ সে দাবী উপেক্ষা করে তাকে ডাকাতির মামলায় সন্দেহজনক হিসেবে কোর্টে প্রেরন করেছে। এর প্রতিকার দাবী করে পরবর্তী করনীয় দাবী জানান। এক পর্যায়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ লিয়াকত আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সমাবেশে উপস্থিত হন।
এ সময় জনতা এবং উপস্থিত নেতবৃন্দের দাবীর প্রতি একাত্বতা পোষন করে তিনি বলেন, সে নিরাপরাধ হলে পরবর্তীতে মামলার দায় থেকে মুক্তি দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। এবং উক্ত ডাকাতির ঘটনার মুল রহস্য উদঘাটনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ গভীর রাতে একদল অস্র্দারী ডাকাত শহরের জয়নগর গ্রামের এডভোকেট আবুল কালাম আজাদের বাসার গেইটের গ্রিল ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়া ̄অস্র সহ দেশীয় অস্র্য়ের মুখে গৃহকর্তী স্কুল শিক্ষিকা রেজিয়া চৌধুরীসহ ঘরে অবস্তানরত ৩ জন নারী সদস্যকে জিম্মি করে ১৫ ভড়ি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায ৫ লাখ টাকাসহ মূল্যমান মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। ৮/১০ জনের ডাকাত দলের মাঝে ১ জন ডাকাতের মুখোশ পড়া ছিল বলে জানাগেছে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ শহর থেকে আনমনু গ্রামের দু’ যুবকসহ ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এলাকাবাসী তাৎক্ষনিক ভাবে ওই গ্রামের দু’ যুবক রং মিস্ত্রিকে নিরাপরাধ এবং এলাকার ভদ্র ও ভাল ছেলে দাবী করে ছেড়ে দেয়ার জন্য পুলিশের প্রতি অনুরুধ করেন।পরবর্তীতে ২জনকে ছেড়ে দিলেও পুলিশ আনমনু গ্রামের নিপুসহ ৩জনকে কোর্ট হাজতে প্রেরন করেন।