স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- এত দিন শোনেছি বিচারের বাণী নিরবে কাঁদে, কিন্তু এখন বাংলাদেশে বিচারের বাণী চিৎকার করে কাঁদে।

তিনি বলেন- গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আওয়ামীলীগ আবারও একতরফা নির্বাচন দিতে চায়। পাতানো নির্বাচন দিয়ে আবারও ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু আওয়ামীলীগের সেই খায়েশ পুরণ হবে না। গণআন্দোলনের মাধ্যমেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে এবং সহায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।

মেয়র জি কে গউছ বলেন- আগামী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জায়গাও বিএনপির নিয়ন্ত্রনের বাহিরে থাকবে না। শুধু কৌশলগত কারণে বিএনপি সহনীয় আন্দোলন করে যাচ্ছে। তাই বলে বিএনপিকে যারা দুর্বল মনে করছে তারা বোকার রাজ্যে বাস করছে।

আইন শৃংখলা বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে জি কে গউছ বলেন- আপনারা দেশের সর্বোচ্ছ ডিগ্রি নিয়ে চাকুরীতে যোগদান করেছেন। আপনাদের অনিচ্ছা সত্যেও আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সামনে এসে দাড়ান, আমরা তা বুঝি। তবে এখন সময় এসেছে, আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখুন, আপনারা যাদেরকে পাহারা দিচ্ছেন তারা জনবিচ্ছিন্ন। তাই মানুষের পাশে দাড়ান, এদেশের গণতন্ত্রকে সুসংহত রাখতে দেশের জনগনের পাশে ধাকুন।

তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসা ও মুক্তির দাবীতে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগনের বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তি এক পথসভায় এসব কথা বলেন। এর আগে শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রধান সড়কে আসলে পুলিশ ব্যারিকেট দিয়ে বাধা দেয়। এ সময় তাৎক্ষনিক এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী ও এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ হাজী এনামুল হক, জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি সফিকুর রহমান চৌধুরী, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হাশিম, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ফরিদ আহমেদ ওলি, এডভোকেট এস এম আলী আজগর, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমার কাজল, নুরুল ইসলাম নানু, তানভির আহমেদ জুয়েল, নজরুল ইসলাম শানু, জেলা যুবদলের সভাপতি মিয়া মোঃ ইলিয়াছ, সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, ফারুক আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান, সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, জেলা মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন, জেলা জাসাসের সভাপতি অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, নাজমুল হোসেন বাচ্চু, মাহবুবুল হক হেলাল, মুজিবুর রহমান, আজম উদ্দিন, হাবিবুর রহমান,শাশছু মিয়া, সৈয়দা লাভলি সুলতানা, মহসিন সিকদার, আব্দুল মালেক, জহিরুল হক শরীফ, এম জি মওলা, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, শাহ ফারুক আহমেদ, কুহিনুর আলম, সফিকুর রহমান সিতু, আমিনুল ইসলাম বাবুল, জিল্লুর রহমান, আরিফে রাব্বানী টিটু, হুসেইন মোঃ রফিক, হাফিজুল ইসলাম, শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, আলী হোসেন সোহাগ, মশিউর রহমান কামাল, শেখ মামুন, মিজানুর রহমান সুমন, আব্দুল মজিদ, আব্দুল হান্নান নানু, সাইদুর রহমান কুটি, তাজুল ইসলাম, সফিকুল ইসলাম সফিক, আব্দুল হক, এমদাদুল হক মিল্টন, সিরাজুল ইসলাম, আশরাফুল আলম সবুজ, আলী আকবর, মোজাম্মেল হক, আব্দুল হাই, এডভোকেট মইনুল হক দুলাল, তাজুল ইসলাম, আব্দুল মতিন প্রমুখ।