মোঃ ফারুক মিয়া, চুনারুঘাট থেকে ॥ পবিত্র রমজান মাস শেষের দিকে। সময় যত গড়াচ্ছে ঈদুল ফিতর ততই নিকটে আসছে। আর মাত্র ১০ দিন এর পরেই মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের দুটি উৎসবের অন্যতম উৎসব ঈদুল ফিতর। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ঈদের কেনাকাটা। চুনারুঘাট উপজেলার পৌর শহরের হাট বাজারের পোশাকের দোকানের পাশাপাশি জুতার দোকানগুলোতেও বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। সময় যত গড়াচ্ছে ততই ভিড় বাড়ছে। রোজার মধ্যভাগেই পোশাকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। ঈদের কেনাকাটার জন্য ছুটির দিনকে বেছে নিয়েছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চাকরিজীবি মানুষ। সাথে সাথে ক্রেতা আরোও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি। এখন স্কুলগুলোতে ছুটি হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে উপহার পাঠানো, গ্রামে আত্মীয়-স্বজনদের জন্য পোশাক কেনাসহ ঝামেলা পোহাতে একটু আগেভাগে ক্রেতারা কেনাকাটা শুরু করেছেন। গতবারের মতো এবার কোনো অস্থিরতা নেই। তাই শুরু থেকে ক্রেতারা মার্কেটে আসছেন। চুনারুঘাট বাজারে রমজানের শেষভাগেই মার্কেটগুলোতে শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। এবার আগে থেকে কেনাকাটা শুরু হওয়ায় মার্কেট বা হাট বাজারগুলোতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে ক্রেতাদের উপচে পড়া জমজমাট ভিড়। সেই সাথে এবার বাজারে নতুন নতুন পোষাক ক্রেতাদের মন কাড়ছে। এছাড়াও অভিজাত মার্কেটের পাশাপাশি শহরের ফুটপাতগুলোতেও কেনাকাটার ধুম লক্ষ করা গেছে। রবিবার সকাল ৮টার পর থেকে কেনাকাটা শুরু হচ্ছে চলছে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত। তবে এবার বাজারে অন্যান্য পোশাকের চেয়ে বাহুবলি কাটাপ্পার ও দেবসেনার চাহিদা বেশি। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের দু’টি উৎসবের মধ্যে ঈদুল ফিতর অন্যতম। এই ঈদকে ঘিরে সবার কিছু না কিছু পোশাক কেনার আশা করে থাকি। নতুন পোশাক পরে বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে সাথে ঘুরতে যাওয়া আসা সব মিলিয়ে ঈদুল ফিতরকে প্রধান উৎসবের দিন বলা হয়। ফলে ঈদের আগেই কেনাকাটা করে বাড়িতে আয়োজন করে রাখি। ঈদের পোশাক কিনতে চুনারুঘাট বাজারে স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে এসেছেন ফারুক মিয়া। তিনি জানান, বর্তমানে অবস্থা ভালো ঝামেলা কম তাই রোজার মাসেই ঈদের বাজার করে নিচ্ছি। পৌর শহরের চুনারুঘাট ঘুরে দেখা গেছে। শহরের অবস্থিত রোডে, মার্কেট মধ্য বাজার মুসলিম প্লাজা মার্কেট, জনতা মার্কেট, কিবরিয়া মার্কেট, জাহির সুপার মার্কেট সহ চলছে বেচাকেনা। সব দোকানগুলোতে চলছে কনা কাটার ধুম। ছোটবড় সকল বয়সের মানুষ ঘুরছে মার্কেগুলোতে। তাদের পছন্দের সব পোশাক কিনতে, দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে।