নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রী জননেতা মরহুম দেওয়ান ফরিদ গাজী’র জেষ্ট পুত্র দেওয়ান শাহনেওয়াজ মিলাদ ( মিলাদ গাজী) এর সাথে উপজেলার পাঞ্জারাই গ্রামের সফিকুর রহমান সফিক অশালীন আচরনের খবরে এবং ঘটনার প্রতিবাদে দলীয় নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসলে প্রায় ২ ঘন্টা পুরো শহর অচল হয়ে পরে।
এক পর্যায়ে প্রতিবাদী লোকজন সফিক মিয়ার বাসা ঘেরাও করে তাকে গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে। খবর পেয়ে ওসি (তদন্ত) ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গেইটের তালা খোলে সফিক মিয়ার বাসা তল্লাশী করে না পাওয়ায়, রাতের মধ্যেই সফিক’কে গ্রেফতারের আশ^াস দিলে এবং সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। এদিকে তাৎক্ষনিক ভাবে আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী এক জরুরী সভায় মিলিত হয়ে আজ রবিবার ভোর ৬ টার মধ্যে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেন। সেই সাথে নবীগঞ্জ জে কে হাইস্কুল প্রাঙ্গনে বেলা ৩টায় আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগি সংগঠনের নবীগঞ্জ উপজেলা, পৌর, সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সকল নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে এক জরুরী কর্মী সভা আহ্বান করা হয়েছে। ওই সভা থেকে সফিক মিয়া’কে নবীগঞ্জে অবাঞ্চিত ঘোষনার পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার না করলে কঠোর কর্মসুচী ঘোষনা করা হবে বলে দলীয় সুত্রে জানাগেছে।
সুত্রে জানাযায়, আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী মরহুম দেওয়ান ফরিদ গাজীর তনয় দেওয়ান মিলাদ গাজী গতকাল শনিবার বিকালে শহরে গণসংযোগকালে নতুন বাজার এলাকায় সফিক মিয়াকে দেখে সালাম বিনিময় কালে হঠাৎ করে সফিক মিয়া অশালীন ভাষায় কথা বার্তা বলেন। এক পর্যায়ে মরহুম জননেতা দেওয়ান ফরিদ গাজীকে নিয়ে চরম কটুক্তি করেন। ঘটনার প্রেক্ষিতে দেওয়ান মিলাদ গাজী সফিকের নিকট অশালীন ভাষার কারন জানতে চাইলে সে প্রাণে হত্যার হুমকী দেয়। এ সময় আশপাশে অবস্থানরত নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হলে সফিক মিয়া ঘটনাস্থল থেকে ছিটকে পরে। মুহুর্তের মধ্যে ঘটনাটি উপজেলা ব্যাপী জানাজানি হলে হাজার হাজার নেতাকর্মী, সর্মথক ও জনতা নবীগঞ্জ শহরে ছুটে এসে অবস্থান করেন। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তোপ্ত হয়ে উঠে। নেতাকর্মীরা সফিক মিয়ার মালিকানাধীন শহরের ওসমানী রোডস্থ তালুকদার মার্কেট ঘেরাও করে রাখেন ও তাকে গ্রেফতারের জন্য বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে পুলিশ সফিক মিয়াকে গ্রেফতারের আশ^াস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ দিকে ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিকভাবে আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের জরুরী সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এডভোকেট আবুল ফজল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, আব্দুল মুহিত চৌধুরী, সাবেক সাধারন সম্পাদক আবু সিদ্দীক, এডভোকেট ফারুক আহমদ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল মালিক,সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু, রবীন্দ্র কুমার পাল, উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, পৌর আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক নির্মলেন্দু দাশ রানা, কাউন্সিলর আব্দুস সালাম, লোকমান খান, প্যানেল মেয়র-১ এটিএম সালাম, কাউন্সিলর জাকির হোসেন, মাক্কু চৌধুরী, খয়রুল বশর চৌধুরী, ওহি দেওয়ান চৌধুরী, আব্দাল করিম, আউয়াল মিয়া, ইকবাল আহমদ বেলাল, মাজহারুল ইসলাম অপু, সোফায়েল আহমদ, হাফিজুর রহমান মিলান, জুয়েল আহমদ, আল আমীন, মানিক দাশ, হুমায়ুন চৌধুরী, জাবেদ আহমদ, নেছার আহমদ জুগলু, ইকবাল হোসেল, এটিএম রুবেল, মনসুর আহমদ ও হারুন খান প্রমূখ।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী সফিক’কে গ্রেফতারের দাবীতে রাতে বালিদ্বারা বাজারে প্রতিবাদ সভা করেছে আওয়ামীলীগ ও সর্বস্তরের জনতা।