নিজস্ব প্রতিবেদক : জেলা শহরের ইনাতাবাদ এলাকার জহুর আলী (২৮) নামের এক যুবককে দুবাইয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ খবরে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের মাঝে চলছে মাতম। সে হবিগঞ্জ শহরের ইনাতাবাদ গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর পুত্র।

শুক্রবার রাতে তার মৃত্যুর খবর বাড়িতে আসে বলে জানিয়েছেন নিহতের বড় ভাই জনাব আলী। তিনি জানান, ১৩ বছর আগে জীবিকার তাগিদে দুবাই যায় জহুর আলী। সম্প্রতি দেশে এসে তেঘরিয়া গ্রামের সফিক মিয়ার কন্যা ফাহিমা আক্তারকে বিয়ে করে। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি সে পুনরায় দুবাই চলে যায়। দুবাইয়ের সারজা শহরের একটি কোম্পানীতে সে শ্রমিকের কাজ করতো।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রোম থেকে সে বের হয়। এরপর সে আর রোমে ফিরে আসেনি। তার মোবাইল ফোনটিও তখন বন্ধ পাওয়া যায়। শুক্রবার সকালে জহুর আলীর লাশ বাসা থেকে দুই কিলোমিটার দুরে একটি নির্জনস্থানে পাওয়া যায়। পরে জহুর আলীর পরিবারকে বিষয়টি ফোন করে জানায় তার এক সহকর্মীরা।

দুবাইয়ে থাকা জহুর আলীর সহকর্মী বিষয়টি সারজা পুলিশকে জানালে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে সারজা মেডিকেলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে দুবাইয়ে থাকা জহুর আলীর স্বজনরা সেখানে গেলে পুলিশ সকলের মোবাইল ফোন জব্দ করে এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে।

তিনি আরো জানান, সেখানকার পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে দুর্বৃত্তরা জহুর আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে সেখানকার পুলিশ জোর তদন্ত চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে জহুর আলীর মৃত্যুর খবরটি হবিগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে পৌছলে তার পরিবারের লোকজনসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।