এম এ আই সজিব ॥ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলার আসামীদের মালামাল ক্রোকের আদেশ কার্যকর করা হয়েছে কি-না তা আদালতকে জানানো হয়নি। সেজন্য মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ জুলাই। গতকাল সোমবার ধার্য্য তারিখ ছিল। মামলার রাষ্টপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী জানান, বিস্ফোরক মামলার যেসব আসামীর মালামাল ক্রোকের জন্য আদেশ দেয়া হয়েছিল তা কার্যকর করা হয়েছে কি-না তা গতকাল মামলার নির্ধারিত তারিখে আদালতকে জানানোর কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ আদালতকে তা জানায়নি। কারাবন্দী কোন আসামীকেও আদালতে হাজির করা হয়নি। তবে জামিনে থাকা মামলার ৭ আসামী আদালতে হাজির ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে হবিগঞ্জের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক জেলা জজ মো. আতাবুল্লাহ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন ২০ জুলাই। প্রসঙ্গত, বিস্ফোরক মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ, হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ ১৪ আসামী কারাগারে রয়েছেন। জামিনে রয়েছেন ৮ জন। এছাড়া বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীসহ ১০ জন পলাতক রয়েছেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক জেলা জজ মো.আতাবুল্লাহ, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীসহ পলাতক ১০ আসামীর মালামাল ক্রোকের আদেশ দেন। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া, তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ ৫ জন। এ ঘটনায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়।