এম এ আই সজিব ॥ হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুর ঘোষপাড়া এলাকার একটি বাসায় পুত্রের নির্যাতনে সৎ ভাই ও মা আহত হয়েছেন। পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসে বিপাকে পড়েছে। থানা প্রাঙ্গণে সৎ মা বর্তমানে হয়ে ভর্তি হয়েছেন সদর হাসপাতালে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। আইমুন্নেছা (৩৫) জানান, ৭ বছর আগে ওই এলাকার এডভোকেট আব্দুস সহিদের স্ত্রী মারা যাবার পর তাকে বিয়ে করেন। এ সময় তার পুত্র ইব্রাহিম খোকন (১৮) ও তার সাথে ছিল। ইদানিং সম্পত্তি নিয়ে তার পুত্র সাইফুল ইসলাম জাবেদ (৩৫) এর সাথে বিরোধ দেখা দেয়। তুচ্ছ ঘটনায় দুই পক্ষের মাঝে মারামারিসহ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। জাবেদ শহরের ইনাতাবাদ এলাকায় তার স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করে।
গতকাল সন্ধ্যায় আইমুন্নেছা ও তার ছেলে আইমুন্নেছা এডভোকেট আব্দুস সহিদকে জমি-জমা এবং টাকার জন্য তাকে পিঠিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে জাবেদসহ কয়েকজন যুবক বাসায় এসে এ সময় তার পুত্র ইব্রাহিম খোকন এগিয়ে এলে তাদের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে জাবেদ, আইমুন্নেছা ও ইব্রাহিম আহত হয়। খবর পেয়ে সদর থানার এসআই পার্থ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ইব্রাহিম খোকনকে আটক করে ও আইমুন্নেছাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। রাত ৯টার দিকে আইমুন্নেছা থানা প্রাঙ্গণে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সাথে সাথে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আইমুন্নেছার জ্ঞান ফিরেনি। এতে পুলিশ পড়ে বিপাকে।
এ দিকে এডভোকেট আব্দুস সহিদ তার ২য় স্ত্রী আইমুন্নেছা ও ছেলে ইব্রাহিমকে আসামী করে ১টি অভিযোগ দায়ে করেন।
এ ব্যাপারে ওসি মোঃ নাজিম উদ্দিন জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। দুইজনকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
আমরা ১টি অভিযোগ পেয়েছি ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইমুনন্নেছা শায়েস্তাগঞ্জের পশ্চিম লেঞ্জাপাড়া গ্রামের আব্দুল মন্নানের স্ত্রী। সে আব্দুল মন্নানকে তালাক প্রদান করে এডভোকেট শহীদকে বিয়ে করেন বলে জানান।