বাহুবল প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়ন যুবসংহতির সভাপতি রফিক মিয়াকে কুপিয়ে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি ও বাকী আসামীদের গ্রেফতার করতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয় লোকজন।
বিভিন্ন ব্যানারে শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার মিরপুর চৌমুহনীতে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সড়কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ শেষে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে জনতা।
শুরু হয় প্রতিবাদ সভা চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এতে এক ঘন্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। প্রচন্ড রৌদ্রে যাত্রীদের দ্বিকবিদিক ছুটাছুটি করতে দেখা গেছে।
পরে হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছে উত্তেজিত জনতাকে সুষ্টু বিচারের আশ্বাস দিলে তারা মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয়।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, ঘটনার ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন ক্লু-উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ আসামীদের সাথে আতাত করে পেলেছে। আজ শনিবার ৪দিনের রিমান্ড শেষ হলেও এখন পর্যন্ত কোন ক্লু-পায়নি পুলিশ। জনতা মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তরের দাবি ও বাহুবলের ওসির অপসারণ দাবি করে। বক্তারা বলেন, ঘটনার দিন মামলার ৩ নং আসামীর ঘর থেকে রক্তমাখা লুঙ্গি উদ্ধার করে র্যাব পুলিশ। আজ পর্যন্ত ঐ আসামী হাশিমকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত রোববার ( ২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে পশ্চিম জয়পুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র ইউনিয়ন যুবসংহতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম (৩৫) এর টুকরো টুকরো লাশ উপজেলার দক্ষিণ সীমান্তের দত্তপাড়া ও গোবিন্দপুর গ্রামের বধ্যবর্তী রেললাইন থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নিহতের পাশের বাড়ির মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র আব্দুল জাহির (৫২) ও আবুল কালাম (৬৩) কে গ্রেফতার করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করে। আদালত ৪দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আজ শনিবার (৫ মার্চ) রিমান্ড শেষ হয়েছে।
লাশ উদ্ধারের রাতেই বাহুবল মডেল থানায় নিহতের ভাই হাফেজ ছাদিকুর রহমান বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃতরা সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রফিকুল ইসলামকে বাড়ির একটি রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।